নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জীবননগর হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মাদুল হক তুহিনের বিরূদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা জীবননগর উপজেলার সনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মাদুল হক তুহিন নিজেই কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত। তারই সুত্র ধরে একই স্কুলের ১০(দশম) শ্রেনির ছাত্র হাসাদাহ ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জাকির হোসেনর ছেলে রানা আহম্মেদকে তার নিকট কোচিং করতে বলে। কিন্তু ছাত্র রানা আহম্মদ তার কাছে কোচিং করতে রাজি না হওয়ায় ঐ শিক্ষক ছাত্র রানার উপর রেগে যায়। এবং তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন অজুহাত খুজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ছাত্রের মাথার চুল কাটার অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষক তুহিন স্কুলের সবার সামনে বেধড়ক পেটান। সম্প্রতি জেলা পরিষদ যেখানে সবার জ্ঞ্যাতার্থে কিছু সতর্কী করন প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন যে বিদ্যালয় চলাকালে (সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন প্রাইভেট বা কোচিং করানো যাবেনা। আর বিকাল ৪টা থেকে গ্রীষ্মকালে সন্ধা ৭টা এবং শীতকালে সন্ধ্যা ৬টার পরে কোচিং সেন্টার চালানো যাবেনা। অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ পরিপত্রে মেনে চলতে হবে। সরকার আজ যেখানে বদ্ধ পরিকর কোচিং বানিজ্য বন্ধের জন্য অথচ আজ সেখানে কিছু সংখ্যক অসাধু শিক্ষক সেটাকে না মেনে তারা তাদের কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক তুহিনের সাথে কথা বললে তিনি কোন কোচিং এর সাথে জড়িত না বলে দাবি করেন অথচ বিদ্যালয় ও এলাকা থেকে তার বিরূদ্ধে একাধিক কোচিং বানিজ্যর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর দিকে অভিযোগকারী ছাত্র রানার পিতা জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঐ সমস্ত শিক্ষকের বিরূদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
