মোঃ মিঠুন মাহমুদ জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীএই লেবাসে বিচার করে অর্থ হাতিয়ে নেবার এক সিন্ডিকেটের দেখা মিলেছে জীবননগর পৌর এলাকায়। চতুর্থ মুখী সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন জনৈক আনারুল বিশ্বাস। তিনি ওয়ার্ড কমিটির একজন কথিত নেতা । আরো যে ৩জন জড়িত আছেন তারা হলেন ফজলু খন্দকার , বিশারত বিশা ও শহিদুল ইসলাম এরা সবাই লক্ষীপুর বসতি পাড়া তথা ৫নং ওর্য়াডের আওয়ামীলীগ কর্মী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ১৫ই রমজান মাসে অসহায় দারিদ্র এক ভ্যান চালকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে । যদিও বিষয়টির পক্ষে কোন জোরালো ভূমিকা ছিল না এমনকি প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষা ও হয়নি । তারপরেও মিলন নামের মধ্যবয়সী এক পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ খাড়া করা হয়। এরপর সামাজিক অবক্ষরে দোহাই দিয়ে মিলনকে দোষী সাব্যস্থ করা হয়। সাথে সাথে তাকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করে নেয়। কিন্তু যার নামে অভিযোগ সেই নিগৃহিতাকে কোন টাকা দেয়া হয়নি ।তাকে চিকিৎসার জন্য ৮শ টাকা এবং মাস খানেক পরে আরো নগদ ২হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে মহিলার স্বামী দরিদ্র ভ্যান চালক কে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি তার স্ত্রীকে নির্দোষ দাবী করে বলেন , ওরা ষড়যন্ত্র করে আমার স্ত্রীর নামে মিথ্যা কলস্ক রটিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটেছে । তারা ২৫হাজার টাকা আদায় করে নিজেরা আর্ত্বস্বাৎ করেছে । তিনি আরো জানান, মাত্র দু’হাজার আটশত টাকা পেয়েছি । তারা বিপুল অস্কের টাকা আঁদায় করেছে । আপনার স্ত্রীর পাওনা টাকা কেন পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওরা ক্ষমতাসীন দলের লোক এবং প্রভাবশালী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিশারত বিশাকে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এদিন আমরা পরকীয়ারত অবস্থায় দু’জনকে আটক করি । এরপর সামাজিক ভাবে বসে বিষয়টির সুষ্ঠ মিমাংস করে দিই। বর্তমানে আর কোন ঝামেলা নেই। জরিমানার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা টা রয়েছে কিন্তু টাকা ভিকটিমকে দিয়েছি । গচ্ছিত টাকার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এত বিপুল পরিমানের অর্থদন্ড করার কোন নৈতিক অধিকার আপনাদের আছে কি না -জানতে চাইলে তিনি জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকেন । এদিকে এ ঘটনার রেশ না কাটতেই গত ১৭ আগস্ট এমন আরেকটি ঘটনায় বিচারের নামে প্রহশন করে এই সেন্ডিকেট আরো ৩৫হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । এদিকে বিচারকরা বিচারের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক ।
