দামুড়হুদা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার-দামুড়হুদাকোমরপুর- মোক্তারপুর সড়কে জামতলা নামক স্থানে মোক্তারপুর অবস্থিত রেড ব্রিক্সের কাঠ ভর্তি ট্রাক্টর গাড়ি ও ইট ভাঙ্গা মেশিন গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেলেন কার্পাসডাঙ্গা আদিবাসি পাড়ার ইট ভাঙ্গা মেশিন চালক রিপন বিশ্বাস।
জানা গেছে গতকাল রবিবার সকাল ৮ টার সময় কার্পাসডাঙ্গা থেকে ইট ভাঙ্গা মেশিন গাড়ির চালক সহ ৫ জন দামুড়হুদার উদ্দেশ্যে রওনা হয় অপর দিক থেকে মোক্তারপুরের রেড ব্রিক্সের কাঠ ভর্তি ট্রাক্টর কার্পাসডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ।কোমরপুরে নলডাঙ্গা মাঠে ২ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে এসময় আহত হয় ইট ভাঙ্গা মেশিন গাড়ির চালক রিপন সহ কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের রাম প্রসাদ, সাঈদ, জসিম ও কোমরপুরের সাইফুল। রিপন (২৮) গুরুতর আহত হলে তাকে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রিপন মারা যায়। দুসন্তানের বাবা রিপন কার্পাসডাঙ্গা আদিবাসি পাড়ার মৃত গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের ছেলে। ঘটানা স্থলে ইট ভাঙ্গা মেশিন গাড়ি ভেঙ্গে কয়েক ভাগে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় ট্রাক্টর গাড়ির চালক নাপিতখালির মানিক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। আহত সাঈদ জানান ট্রাক্টর গাড়ি চালক মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিল সংঘর্ষ হওয়ার পর আমরা বলতে গেলে চালক মানিক গাছের ডাল দিয়ে আমাদেরকে মারতে শুরু করে। এদিকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভাটা মালিক ফজলুল হক এরপর তিনি যান নিহত পরিবারের কাছে। ভাট মালিক মৃত রিপনের পরিবারকে আপস মিমাংসার জন্য বসতে বলেন এবং রিপনের পরিবার ও ভাটা মালিক কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে আপস মিমাংসার জন্য বসে। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টুর উপস্থিতিতে ৬০ হাজার টাকায় আপস মিমাংসা হয়। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন ইট ভাটা গুলোর নিয়ন্ত্রিত ট্রাক্টর গাড়িগুলো বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায় এবং কোনো ট্রেনিং ছাড়ায় অধিকাংশ চালক মাটি কাটতে কাটতে চালক সেজে বসেছে। চালকরা যাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহিন গাড়ি না চালাতে পারে সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসি। রিপনের লাশ তার বাড়িতে পৌছালে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে বর্তমানে রিপনের রেখে যাওয়া শিশু ২ সন্তানকে নিয়ে অথয় সাগরে পড়ে গেল তার পরিবার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল রাত ১০ টার সময় রিপনের লাশ কাটাখালি শ্বশ্নানে শেষকৃত্ব হবে বলে যানা গেছে।
