আলোকিত অনলাইন ডেক্স ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ থাকছে বিদ্যুৎ খাতে। মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রি-বাজেট বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভ্যাট দাতার সংখ্যা ৫ লাখ বাড়াতে চাই। পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৮ সালেই শেষ হবে। তবে রেলসেতুর কাজ কিছুটা বাকি থাকবে। বাজেটে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো সম্পর্কে আলাদা পুস্তক প্রকাশিত হবে।
তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট হবে করের বাজেট। এ বাজেটে করের চাপ বাড়বে। ফলে জনজীবনে এর কিছুটা প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জিডিপির (মোট জাতীয় উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ ধরা হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরই প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ অর্জিত হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এ অনেকগুলো বিষয় অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট জানিয়ে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এটা সম্পর্কে কমেন্ট করব না। কারণ পুরা সিগমেন্টটা আমি এখনও পাইনি। কোনো কাগজে পুরো স্টেটমেন্টটা নেই। আমি আটটি কাগজ পড়েছি সকাল বেলা। এটা পাওয়া সহজ। আমি ওনার অফিস থেকে প্রত্যেক বার নিয়ে আসি। এবারও তাই করব।
পত্রিকায় নিউজটা তো দেখেছেন তিনি বাংলাদেশের কোন কোন জায়গায় কী কী করতে চান। কিছু টাইমলাইন দেওয়া আছে। কিছু লক্ষ্য দেওয়া আছে- শ্যামল দত্তের দেওয়া এমন তথ্যের পর মুহিত বলেন, ইয়েস, আই থিঙ্ক দিস ইজ গুড। এটা তো দেশের জন্য ভাল। ইউ হ্যাভ এ প্রজেকশন বাই এ ইম্পটেন্ট পলিটিক্যাল পার্টি।
আলোচনায় সম্পাদকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সরকারি ব্যাংকগুলোর মতো অব্যবস্থাপনা তৈরি হতে পারে।
প্রি-বাজেট বৈঠকে মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, চ্যানেল আই-এর ডিরেক্টর অব নিউজ শাইখ সিরাজ, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ জ ই মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।