অমিত সরকার মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে জীবন্ত শিশুকে দাফন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন এক পাশন্ড মা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বাউলী মাঠপাড়া গ্রামের ইজ্জত আলীর মেয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সাগরিকা খাতুন(১৬) বিয়ের পূর্বেই অবৈধ গর্ভবতী হয়ে যায়।
একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে সোহাগের সাথে দীর্গ ২ বছর যাবৎ প্রেম করে আসছিল। এক পর্যায় শারীরিক সম্পর্কের কারণে সাগরিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৮/৯ মাস পর প্রেমের ফসল হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে মেডিসিনের মাধ্যমে জীবন্ত পুত্র শিশুর গর্ভপাত ঘটায়। গোপনে সাগরিকা ও তার মা জীবন্ত শিশুটিকে মাটি চাপা দেওয়ার সময় শিশুর কান্নার শব্দে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুলের ভাই তা দেখে ফেলে। এ সময় হৈচৈ পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন এসে জড়ো হয় এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকজন এ নিয়ে সালিশ দরবারে বসলে শিশুটি মারা যায়। পরে শিশুটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হয়।
উভয় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে ইউপি মাহাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন শিশুটিকে দাফন করা হয়েছে। আগামী শনিবার সালিশের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার করা হবে।
নেপা ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
