ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মহেশপুরে ইউএনও আশাফুর রহমানের অনেক নাটকের মাধ্যমে বদলির আদেশ হলে কিছু মানুষের মায়া কান্না শুরু হয় যা সামাজিক গণ-মাধ্যমে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। গত এক যুগ আগে ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় র্যাবের ক্রস ফায়ারে মারা যায় পিচ্চি হান্নান যা আমরা সবাই জানি। সে সময় গণ-মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পত্রিকা মাধ্যমে জানা যায়, পিচ্চি হান্নান যখন ঈদে বা অন্য কোন সময় নিজ এলাকায় যেত সে সময় এলাকার মানুষের জন্য শাড়ী, লুঙ্গি বা অন্য কোন জিনিস পত্র গাড়ি বোঝায় করে নিয়ে যেত। সাধারণ মানুষ মনে করতো এর মতো ভালো মানুষ আর হয়না কিন্তু এর ইতিহাস ভিন্ন। পিচ্চি হান্নানের চাঁদা দেয়নি কাওরান বাজার এলাকায় এমন লোকের সংখ্যা ছিল খুবই কম। এমপি, মন্ত্রীদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাদ যায়নি। জীবিত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি নিহত হবার পর তার এই সমস্থ তথ্য বিভিন্ন গণ-মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
এই কাহিনী বলার কারণ গত ২ জুলাই সামজিক গণমাধ্যমে মহেশপুর উপজেলার ইউএনও আশাফুর রহমানের বদলির খবর প্রচার হলে ২/৩ দিন সামাজিক গণ-মাধ্যমে তাকে নিয়ে ঝড় উঠে পক্ষে বিপক্ষে লেখা লেখি ও কিছু মানুষ ফেস বুকে মায়া কান্না শুরু করে। কারণ মহেশপুরের মানুষ সহজ সরল তারা এতো কিছু বোঝে না পিচ্চি হান্নানের এলাকার মানুষের মতো মন্তব্য করে এর মতো ভালো মানুষ হয় না। যারা ইউএনও’র জন্য মায়া কান্না করছেন তারা কি আসলে খোজ নিয়ছেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানুষ জনকে নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন অনুদান কিভাবে দিয়েছেন ?
আমি যদি বলি পিচ্চি হান্নানের মতো তাহলে অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কারণ করার মতো নয় সেটি। দৃশ্যমান ছিল না। বিভিন্ন গণ মাধ্যমে তার চাঁদাবাজির অনেক তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তার অর্থ আদায়ের অনেক কৌশল প্রকাশ পেয়েছে। কেউ কেউ বলছে গত ১ বছর ৩/৪ মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা মহেশপুর থেকে হাতিয়ে নিয়েছে উক্ত ইউএনও অথচ মহেশপুরের কিছু লোকজন তাকে নিয়ে অসাধারন,মহেশপুরকে শতভাগ এগিয়ে. কিছু কিছু মহিলা শিক্ষিকা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করছেন। এ সকল লোকজনের পিছনে ফিরে দেখলে দেখা যায়, ঐ সকল শিক্ষিকার স্বামীদের সাথে সম্পর্ক ভাল নেই, আবার অন্যরা হলো নামের আগে চিটার বা অন্য কোন উপাধি যোগ রয়েছে।
১৯৮৪ থেকে ২০১৭ সময় পর্যন্ত যতোগুলো ইউএনও মহেশপুরে এসেছে তার মধ্যে এতো চালাক চতুর লোক আর পূর্বে আসেনি। আবার সবার থেকে অবৈধ আয় করেছেন বেশী। তিনি আখ ভাংগা গল্পের মতো একে একে ইউপি চেয়ারম্যান, মেয়র, এমপি সবাইকে দেখেছেন কিন্তু সফল হতে পারেননি। নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়েছেন। শেষ দিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হাত বাড়ীয়ে ব্যর্থ হয়।
এই বদলির আগে তার আরো ২ বার বদলি হয়। সে সময় এমপির মাধ্যমে তদবির করে শেষ রক্ষা হয়। অথচ সেই এমপির সাথে মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ এই ইউএনও। যা মহেশপুরের মানুষ মনে রাখবে ২য় মীর জাফর হিসেবে। আর সবাই দৃষ্টি রাখবে মাগুরাবাসীর দিকে
