স্টাফ রিপোটার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় গত শনিবার এক নাবালিকা তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
প্রাপ্ত সূত্রে থেকে জানা যায় যে, মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকনের (২০) সাথে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমানের নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে শান্তনা আক্তার (১৪) সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এক পর্যায়ে ঈদের দিন সকালে শান্তনা ও তার ছোট বোন ফুবু বাড়ি বজরাপুরে আসতে হাসাদাহ বাজারে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ধর্ষক রোকন ও তার চার সহযোগী বন্ধুর সাথে দেখা হয়। একপর্যায় রোকন ও তার চার বন্ধু তাকে ফুবু বাড়ি পৌছে দেবার কথা বলে তার বোন এবং তাকে নিয়ে মহেশপুরের কাকিলাদাঁড়ি নামক স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়, পথে মধ্যে তারা দুই বোন কে চেতনা নাশক টিস্যু নাকে শুকিয়ে অচেতন করে ফেলে তার পর কাকিলাদাঁড়ি মাঠের ভিতরে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আখক্ষেতের মাঝে তৈরী ঝুপড়িতে নিয়ে যায়। তারপর ছোট বোনটিকে রাস্তার পাশে রেখে বড় বোন কে ধর্ষণ করে, একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে পাশ্ববর্তী মূলা ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক রোকন পালিয়ে যায়।
স্থানিয় ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস করা চেষ্টা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে ধর্ষক রোকন ও তার সহযোগীরা নিযাতীতার পরিবার এবং মেয়েদের উদ্ধার করা কৃষকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে ।
বর্তমানে এ বিষয়ে মহেশপুর থানাতে একটি অভিযোগ দ্বায়ের করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবীর জানান,নির্যাতীতা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি, খুব তাড়াতাড়ি তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বামে ধর্ষনের স্থান আখ ক্ষেত ও ডানে ধর্ষক