অমিত সরকার (মহেশপুর) ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার এক আসামি উপজেলার বজরাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন (১৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকন (২০) ও একই গ্রামের মিজান (২২)।
মামলার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকনের সঙ্গে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঈদের দিন (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই মেয়েটি ও তার ছোট বোন মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে ফুফু বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় রোকন ও তার দুই সহোযোগী তাদের ফুফু বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়।
মামলায় আরো বলা হয়, এসময় দুই বোনকে চেতনা নাশক টিস্যু নাকে শুকিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। তারপর কাকিলাদাঁড়ি মাঠের ভেতরে আখক্ষেতে নিয়ে যায়। বড় বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। টের পেয়ে মেয়েটির চিৎকারে পাশের মূলা ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে। এ সময় রোকন ও তার সহযোগী দুই বন্ধু পালিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার মীমাংসা করার জন্য সালিশ করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবীর জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রোকনসহ দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৮। মামলার আসামি সাকিবকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।