আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি: হত্যাকান্ডের ১৩ দিন পর আলমডাঙ্গায় ইজিবাইক চালক কামরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি কয়রাডাঙ্গার ইলিয়াস মোল্লার ছেলে কলিমকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নির্দেশে এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কলিমকে আটক করে। আটকের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে এবং ছিনতাইকৃত ইজিবাইকের সন্ধান দেয় কলিম। সেই মোতাবেক মেহেরপুর থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে কলিমকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই মামলার আরও ৩ আসামি এখনো পলাতক আছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, কলিম উদ্দিন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ও জড়িত অন্য তিনজনের নাম উল্লেখ করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ তারিখে আলমডাঙ্গায় ইজিবাইক চালক কামরুল ইসলামকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন সকালে সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর-যাদবপুর জিকে খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কামরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় গ্রামের সালাম উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের দাবি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ হত্যারহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র কামরুল ইসলাম (২৫) ভাড়ায় ইজিবাইক চালায়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে সে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরেরদিন সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বালির মাঠ নামক স্থানে খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় কামরুলের লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে কামরুলের লাশ উদ্ধার করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হলে ওই লাশ কামরুলের বলে তার পিতা সালাম উদ্দীন শনাক্ত করেন।
